পটুয়াখালীর বাউফলে রেস্টুরেন্টে ইতি দাস নামের এক মেয়ে ও তার বন্ধুর সাথে খাবার খেতে গিয়ে বখাটেদের দ্বারা হেনস্থার শিকার হন। এ ঘটনার পরে সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে আটটার দিকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। স্বজনদের অভিযোগ, মেয়েটি এ ঘটনায় ক্ষোভে আত্মহত্যা করেছে।
নিহত ইতি দাস (১৯) উপজেলার দাশপাড়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা সমির দাসের মেয়ে এবং বরিশাল বিএম কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তবে শিক্ষার্থী ইতি দাসের আত্মহত্যার ঘটনায় এখনো থানায় কোনো অভিযোগ করেনি তার পরিবারের সদস্যরা।
পুলিশ জানায়, দুপুরের দিকে এক ছেলে থানায় এসে অভিযোগ করেন, পাবলিক মাঠের পাশে কিছু বখাটেরা তাদের ৩টি মোটরসাইকেল আটকে রেখেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছালে কয়েকজন পালিয়ে যায়। তবে রিদয় রায়হান নামের একজন অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। পরে অভিযোগকারী ছেলেটি আবার থানায় চলে আসে, নিহত ইতিও থানার গেটে উপস্থিত ছিলো। এরইমধ্যেই রাজনৈতিক নেতারা জানান, বিষয়টি তাদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা এবং সমাধান হয়ে গেছে । ভুক্তভোগীরা কোনো অভিযোগ দিতে না চাওয়ায় পরে বিকেল ৪ টার দিকে পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব রাকিবের মাধ্যমে তাদের মোটরসাইকেল বুঝিয়ে দেয়া হয়। তখন ইতি তার বাবার সাথে বাসায় চলে যান। রাত সাড়ে ৯টার দিকে ইতির মরদেহ উদ্ধারের খবর পাওয়া যায়।
নিহত ইতি দাসের বাবা সমির দাস বলেন, খবর পেয়ে থানায় গিয়ে দেখি ইতি বসে আছে। তাকে নিয়ে আনুমানিক ৫টার দিকে বাসায় আসি। শুনেছি কিছু ছেলে তাকে ওখানে বসিয়ে রেখেছিলো। বাসায় ফিরেই ইতি নিজ কক্ষে চলে যায়। সাড়ে ৮ টার দিকে রাতের খাবার খেতে ডাকতে গেলে ইতিকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় আমায় স্ত্রী। বাড়ির লোকজনের সহযোগিতায় ইতিকে হাসপাতালে নিলে ডাক্তার মৃত্যুর খবর জানায়।
অভিযুক্ত রিদয় রায়হান বলেন, তাদেরকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করেছি। পরে তাদের পরিবারকে আসতে বলেছি, তাদের নেয়ার জন্য। পরিবারের লোকজন না এসে তারা পুলিশ পাঠায়। এ কারণে লজ্জায় ইতি কান্না করতে করতে বাসায় চলে যায়।
এ বিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, নিহত শিক্ষার্থীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারকে অভিযোগ করতে বলেছি। সকল বিষয়ই আমরা তদন্ত করছি, পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Post a Comment