খেতাবপ্রাপ্ত আহত মুক্তিযোদ্ধার হাতে হাতকড়া কেন? আদালতে শমসের মবিন


 বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন কেন্দ্রিক রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার হত্যা মামলায় তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরীর ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।


সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে তাকে আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে দশ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে পুলিশ। রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াক তাদের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন।

শুনানিতে মহানগর পিপি বলেন, ‘এই শমসের মবিন চৌধুরীর মতো পল্টিবাজ লোক এ দেশের রাজনীতিতে খুবই বিরল। তিনি মুক্তিযুদ্ধের দোহাই দিয়ে আওয়ামী লীগের কাছ থেকে সুবিধা নিয়েছেন। এরপর বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত হন। আওয়ামী সরকারের আমলে বিতর্কিত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে কেউ অংশ না নিলেও তিনি কিংস পার্টি গঠন করে নির্বাচনে অংশ নেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের কলঙ্ক।’

এসময় আদালতের অনুমতি নিয়ে কথা বলেন শমসের মবিন। তিনি বলেন, ‘আমি একজন আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য আমাকে বীর বিক্রম খেতাব দেওয়া হয়। আমি ১৫ বছর বিএনপির রাজনীতি করেছি। ৫ আগস্টে নিজ বাসাতেই ছিলাম। এখনও আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসার জন্য টাকা পয়সা দিচ্ছি। পিপি সাহেব যেসব কথা বলেছেন সেগুলো মুক্তিযুদ্ধকে অপমান করার শামিল।’ এরপর আদালত তার ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন।

আসামিদের এজলাস থেকে হাজতখানায় নিয়ে যাওয়ার সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি হাত উঁচিয়ে বলেন, খেতাবপ্রাপ্ত আহত মুক্তিযোদ্ধার হাতে হাতকড়া কেন?


মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় অংশ নেন পারভেজ মিয়া। বিকেলে আসামিদের ছোঁড়া গুলিতে আহত হলে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। কিছুক্ষণ পর ডাক্তার মৃত ঘোষণা করে। এ ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানায় গত বছরের ২৯ অক্টোবর নিহতের মা কানীছ ফাতেমা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

Countdown Timer
00:01

Post a Comment

Previous Post Next Post