রংপুরের পীরগঞ্জে নিহত দেলোয়ারা বেগমের (৩০) বিচ্ছিন্ন মাথা উদ্ধারের পর এবার তার চার বছর বয়সী মেয়ের মরদেহ পাওয়া গেছে।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল পৌনে ১০টায় উপজেলার চতরা ইউনিয়নের বড় বদনাপাড়া গ্রামে মাটি খুঁড়ে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পীরগঞ্জ থানার ওসি এম এ ফারুক।
পুলিশ জানায়, নিহত শিশুটির নাম সায়মা বেগম। মাস দেড়েক আগে তাকে হত্যা করা হয়। পরে বাড়ির পাশে গোবরের গর্তে শিশুটির মরদেহ পুতে রাখা হয়িছিল। মা-মেয়েকে খুনের ঘটনায় আতিকুল ইসলাম (৩৫) নামের এক ব্যক্তি জড়িত। শনিবার তাকে আটক করা হয়।
এ দিকে স্থানীয়রা জানান, নিহত দেলোয়ারা বেগম নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার বাসিন্দা। তার বিয়ে হয়েছিল গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে। পরে স্বামীর সঙ্গে তার ছাড়াছাড়ি হয়। আতিকুল ইসলামের বাড়ি পীরগঞ্জের বড় বদনাপাড়া গ্রামে। দেলোয়ারা ও আতিকুল একত্রে গ্রামগঞ্জে গানবাজনা করে বেড়াতেন।
এ বিষয়ে পীরগঞ্জ থানার ওসি এম এ ফারুক বলেন, ‘গত ৭ ফেব্রুয়ারি মাথাহীন দেলোয়ারা বেগমের মরদেহ একটি মরিচখেত থেকে উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় আতিকুল ইসলামকে আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া স্বীকারোক্তিতে শনিবার বিকেল ৩টার দিকে উদ্ধার করা হয় দেলোয়ারার বিচ্ছিন্ন মাথাসহ ব্যাগ ও একটি বক্স। শনিবার রাতে থানায় জিজ্ঞাসাবাদে আতিকুল জানান, দেলোয়ারা বেগমের চার বছরের শিশুসন্তানকেও তিনি হত্যা করে মাস দেড়েক আগে মাটি খুঁড়ে মরদেহ পুতে রেখেছেন। আতিকুলকে সঙ্গে নিয়ে রোববার সকালে শিশুটির মরদেহটি উদ্ধারে মাঠে নামে পুলিশ।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেলোয়ারা বেগমকে হত্যার ঘটনায় পীরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক অনন্ত কুমার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে গত শুক্রবার রাতে থানায় মামলা করেন। আটক আতিকুলকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। শিশুটির মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য রোববার দুপুরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মাস দেড়েক আগে ঠিক কী কারণে শিশু সায়মাকে এবং পরে শিশুর মা দেলোয়ারাকে হত্যা করা হয়েছে, সেটা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। হত্যার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।’
Post a Comment