প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অবসরপ্রাপ্ত লে. জে. আব্দুল হাফিজ জানিয়েছেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে লুট হওয়া ১৪০০ অস্ত্র এখনও উদ্ধার হয়নি। এছাড়া আড়াই লাখ বিভিন্ন বোনেটের গুলিও উদ্ধার হয়নি।
আজ মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীতে সশস্ত্র বাহিনী ও প্রতিরক্ষা বিষয়ে জেলাপ্রশাসকদের (ডিসি) সঙ্গে আলোচনা শেষে সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
আব্দুল হাফিজ বলেন, স্বৈরাচারের দোসররা সংগঠিত হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকদের সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আসন্ন রমজান মাসে তাদের আরও সজাগ থাকতে হবে; কারণ ওইসময় তাদের ত্রিমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। নিজ নিজ জেলায় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে। বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা দিতে পারে, সেটার মোকাবিলা করতে হবে। কৃষকরা যাতে তাদের কৃষি উপকরণ ও সেচের জিনিসপত্র সঠিকভাবে পান সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সতর্ক ও নজরদারি বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের ৩টি প্রত্যাশা। এই প্রত্যাশাগুলো আকাশচুম্বী নয়। প্রথমত তারা নিরাপদে ঘুমাতে চায়, নিরাপদে চলাফেরা করতে চায়। দ্বিতীয়টি হলো দ্রব্যমূল্য যেন ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে এবং তৃতীয়টি হলো যে সার্ভিস বা সেবা সরকারের কাছে তাদের পাওয়ার কথা, সেটা যেন তারা কোনো কষ্ট বা হয়রানি ছাড়া পায়। আমি এটাও বলেছি মাঠপর্যায়ে জেলা প্রশাসকরা যারা আছেন তারাই আসলে সরকার। মানুষের জন্য তারাই সরকার।
তিনি জানান, ডিসিরা সিভিল মিলিটারি কো-অপারেশন বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছেন এবং যুব সমাজের জন্য ইউনিভার্সাল মিলিটারি ট্রেনিংয়ের প্রস্তাব করেছে। আনসার ভিডিপির মাধ্যমে প্রত্যেক ইউনিয়নে অলরেডি ট্রেনিং চলছে। এটা সরকারের সিদ্ধান্ত কারণ এখানে আর্থিক সংশ্লিষ্ট বিষয় আছে।
তিনি আরও বলেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে লুট হওয়া প্রায় ছয় হাজার অস্ত্র ও ৬ লাখ গুলি লুট হয়েছে। এরমধ্যে ১৪০০ অস্ত্র ও আড়াই লাখ গুলি এখনও উদ্ধার হয়নি। জেলাতে কোনো না কোনো জায়গায় সেগুলো আছে। সন্ত্রাসীদের হাতে সেগুলো পড়তে পারে এবং তারা সেগুলো ব্যবহার করতে পারে। ফলে এগুলো উদ্ধার করতে হবে।
Post a Comment