ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রীদের সঙ্গে শিক্ষকের টালমাটাল নাচের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। শিক্ষকের এমন বিতর্কিত নাচের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবক ও সচেতন মহল। এক সপ্তাহ ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে নিন্দার ঝড়।
ছাত্রীদের সঙ্গে ভাইরাল হওয়া ওই শিক্ষকের নাম দ্বীন মোহাম্মদ (মাসুম)। তিনি আলফাডাঙ্গা উপজেলার কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমীর ইংরেজি শিক্ষক।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ২১ সেকেন্ডের ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, শিক্ষক দ্বীন মোহাম্মদ একটি হিন্দি গানের তালে তালে বিভিন্ন অঙ্গ-ভঙ্গিতে নাচানাচি করছেন। আর তাকে ঘিরে বিদ্যালয়ের একদল ছাত্রীরাও হৈ-হুল্লোড় ও নাচানাচি করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২৯ জানুয়ারি কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমীর বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। ওইদিন অনুষ্ঠানের এক ফাঁকে শিক্ষক দ্বীন মোহাম্মদ বিদ্যালয়ের নবম ও দশম শ্রেণির একদল ছাত্রী নিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের পাশে গান বাজিয়ে নাচানাচি করেন। পরবর্তীতে অশালীন অঙ্গ ভঙ্গির এমন নাচের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে অভিভাবক ও স্থানীয়দের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয় এবং ওই শিক্ষকদের শাস্তির দাবি জানান।
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি হামিম খান নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট করা হয়েছে। এতে তিনি লিখেছেন, শিক্ষক মানুষ গড়ার কারিগর। নৈতিকতার শিক্ষা দেন। আমার মাধ্যমিক বিদ্যালয়। তিনিও শিক্ষক; নৈতিকতার শিক্ষা দিচ্ছেন কি? প্রশ্ন রেখে গেলাম?
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক জানান, 'তিনি বিদ্যালয়ে নতুন যোগদান করেছেন। ওনার জ্ঞানবুদ্ধি একটু কম আছে।'
এ বিষয়ে কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমির প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন বলেন, ওই শিক্ষক একটু সাংস্কৃতিকমনা। অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে নাচানাচি করেনি। তবে ওইভাবে নাচানাচি করা তার ঠিক হয়নি।
নাচের ভিডিওতে ভাইরাল হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষক দ্বীন মোহাম্মদ (মাসুম) বলেন, প্রথমে আমি ছেলেদের সঙ্গে নেচেছি। পরে মেয়েরা বললে তাদের সাথেও নাচি। কিন্তু মেয়েদের সঙ্গে নাচের ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে। ওই ভিডিওটি এডিট করে অন্য গান যুক্ত করা হয়েছে। এসব গোনাহের কাজ। নাচানাচি করা ভুল হয়েছে বলেও একপর্যায়ে স্বীকার করেন তিনি।
আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিদ্যালয়ের সভাপতি রাসেল ইকবাল বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। এ ধরনের কাজ মোটেই গ্রহণযোগ্য না। বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিয়ে সত্যতা পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Post a Comment